আন্তঃ জেলা ছিনতাই চক্রের মূলহোতা সিএনজি ড্রাইভারসহ ০২(দুই) জন আসামী গ্রেফতার, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি ০২টি ছোরা,ছিনতাইকৃত ০৩টি মোবাইল ফোন ও ২,০০০/-টাকা উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
ফুলগাজী থানার মামলা নং-৫/৭৫, তারিখ -১৩/০৯/২০২৩ইং।
গত
১২/০৯/২০২৩ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.১৫ ঘটিকার সময় সূত্রে উল্লেখিত মামলার বাদীনি নিলু হালদার সিএনজি যোগে ফুলগাজী যাওয়ার সময় উক্ত সিএনজির ড্রাইভার সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা বাদীনিকে ভয়ভীতি দেখাইয়া নগদ ২৫০/-টাকা, স্বর্নের দূল, স্বর্নের আংটি, রূপার চেইন জোর পূর্বক ছিনাইয়া নেয়, যাহার সর্ব মোট অনুমান মূল্য-৩৭,২০০/-টাকা। উক্ত ঘটনার বিষয়ে সিএনজির ড্রাইভার সহ অজ্ঞাতনামা ৪জন ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে বাদীনি ফুলগাজী থানায় এজাহার দায়ের করিলে, অফিসার ইনচার্জ ফুলগাজী থানা সূত্রোক্ত মামলা রুজু করিয়া মামলার তদন্তভার এসআই(নিঃ)/মোঃ আবদুস শুক্কুর এর উপর অর্পন করেন। উক্ত ঘটনার পর পুলিশ সুপার,ফেনী মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এবং অফিসার ইনচার্জ ফুলগাজী থানা, ফেনী এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক টিম গঠন করে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করিয়া প্রথমে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজি গাড়ীটি সনাক্ত করেন এবং সিএনজি গাড়ীটি আটক করতঃ ছিনতাই কাজে জড়িত প্রকৃত আসামীদের চিহিৃত করা সহ ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারের জন্য গোপন সোর্স নিয়োগ করেন। সোর্সের দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে অদ্য ০১/১০/২০২৩ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ১৬.৩০ ঘটিকার সময় নতুন মুন্সীরহাট বাজার হইতে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত অনটেষ্ট সিএনজি গাড়ীটি সহ আসামী ১। মোমিন উল্যাহ(৬০)পিতা-মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক, সাং-নবগ্রাম, থানা-কবিরহাট, ২। আব্দুল খালেক(৩৫) পিতা-মৃত আব্দুল শহিদ, সাং-ধর্মপুর, থানা-সুধারাম,উভয় জেলা-নোয়াখালীদ্বয়দের গ্রেফতার করিতে সক্ষম হইলেও ছিনতাইকারী চক্রের অপর দুই সদস্য পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ কালে তাহারা সূত্রে বর্নিত মামলার ঘটনার সহিত জড়িত মর্মে স্বীকার করেন এবং অদ্য একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাইয়াছে মর্মে তথ্য প্রদান করিলে ছিনতাইকৃত মোবাইল সেট তাহাদের হেফাজত হইতে উদ্ধার করা হয়। এই সংক্রান্তে ফুলগাজী থানার মামলা নং-০১ তারিখ-০২/১০/২০২৩ইং ধারা-৩৯৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী সহ তাদের সহযোগী পলাতক আসামীরা অভিনব কায়দায় সিএনজি গাড়ীতে একজন যাত্রী উঠিয়ে অতপর ফাঁকা জায়গায় গিয়ে যাত্রীকে জিম্মি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাত্রীর কাছে থাকা নগদ টাকা স্বর্নালংকার ও মোবাইল সেট হাতিয়ে নিয়ে যায়। উক্ত চক্রটি বেশ কিছু দিন যাবত নোয়াখালী থেকে আসিয়া ফেনী সদর ও ফুলগাজী থানা এলাকায় তাদের ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত সিএনজিতে পিছনের একটি আসন ফাঁকা রাখিয়া কৌশলে যাত্রী উঠাইয়া ফুলগাজী ও ফেনী সদর থানা এলাকায় একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাইয়াছে মর্মে স্বীকার করে। উক্ত চক্রটি তাদের যাত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশীর ভাগ সময় মহিলাদেরকে টার্গেট করে বলে জানা যায়। ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।
উল্লেখ্য যে, ধৃত এবং পলাতক সকল আসামীদের বিরুদ্ধে ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের বিভিন্ন থানায় একাধিক ছিনতাই, দস্যুতা, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা রহিয়াছে। আসামীরা বিভিন্ন থানার জিআর পরোয়ানা ও সাজা পরোয়ানার পলাতক আসামী বলিয়া জানা যায়।
প্রকাশ থাকে যে, বর্নিত ১নং আসামী মোমিন উল্যাহ(৬০)এর বিরুদ্ধে দস্যুতা সহ ০৫টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে।
২নং আসামী আব্দুল খালেক(৩৫) এর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা সহ ০৬টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে।
৩নং আসামী মোঃ হোসেন প্রঃ আবুল হাসেম এর বিরুদ্ধে অস্ত্র,ডাকাতি মামলা সহ ০৯টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে।